Description
লেখকের কথা
স্বাস্থ্যসেবা দিতে গিয়ে একসময় বই লিখতে হবে এটা কখনো চিন্তায় ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নেশা থেকে পেশা এই প্রবাদটাই আমাকে মেনে নিতে হলো। কারণ শিক্ষাজীবনে মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকে সমাজসেবার সূচনা করলেও কর্মজীবনে তার দায় অনেক বেড়ে গেছে। যার কারণ অসংখ্য জনের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত অনেকটা এলোমেলোভাবেই আমাকে এই ব্যতিক্রম বই প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিতে হলো।
বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে পাঠকের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে, নারী হয়েও মানুষের যৌনজীবন নিয়ে আমি কীভাবে এত খোলামেলা কথা বলি। প্রশ্নটি খুবই যুক্তিযুক্ত। কারণ মানুষের শারীরিক মেলামেশার ক্ষেত্রে সক্ষমতা বা অক্ষমতার বিষয়টি দাম্পত্য জীবনে খুবই অপরিহার্য হলেও তা আমাদের সমাজ সংস্কৃতিতে অনেক ক্ষেত্রেই লজ্জাবোধের বিষয়। এমতাবস্থায় আমিও যদি চিকিৎসক না হয়ে অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে থাকতাম তবে আমার মনে হয়তো এমন প্রশ্ন জাগতো।
তবে যেহেতু আমি নারী হলেও একজন চিকিৎসক, তাই সবার আগে আমাকে মানুষের স্বাস্থ্যসেবাকেই গুরুত্ব দিতে হয়। কারণ রোগী যেমন চিকিৎসকের কাছে তার সমস্যা খুলে না বললে কার্যকর চিকিৎসা পাবেন না, তেমনি একজন চিকিৎসক রোগের বিষয়ে খোলাখুলি বর্ণনা না দিলে রোগীকে সচেতনতায় সফলতা পাবেন না। ফলে সবার উচিত অসুস্থতার আগেই সচেতন হওয়া। মূলত এই ধারণাটি থেকেই আপনাদের সহজ সেবার স্বার্থে আমার এমন প্রয়াস। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আপনার কাছে কোনটা বড়ো লজ্জা নাকি সুস্থতা? যদি জীবন আগে হয় তবে সুস্থতাই তো আপনার কাম্য। আশা করি আপনাদের প্রশ্নের জবাব দিতে পেরেছি।